বিদেশ যেতে লোন পাবো কিভাবে ২০২৩: সোনালী, অগ্রণী, পূবালী, প্রবাসী কল্যাণ ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ৯-১৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। এক থেকে তিন বছর মেয়াদে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা দিচ্ছে। বৈধ পথে বিদেশে জনশক্তি রফতানি করতে এগিয়ে এসেছে ব্যাংক। যারা টাকার অভাবে চাকরি নিয়ে বিদেশ যেতে পারছেন না তাদের কম সুদে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করবে ব্যাংক। তবে বৈধভাবে চাকরি নিয়ে এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে নাম নিবন্ধন করিয়ে বিদেশে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ দেবে। ঋণের টাকায় বিদেশে গিয়ে চাকরি করে কিস্তিতে ঋণ শোধ করার সুযোগ দেয়া হবে। চাকরি নিয়ে বিদেশে যাওয়াকে উৎসাহিত করতে কয়েকটি ব্যাংক এ ধরনের ঋণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কম সুদে কোনো রকম জামানত ছাড়াই সহজ শর্তে কম সুদে এ খাতে ঋণ দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে এসব প্রকল্পে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে বলে ব্যাংকগুলো জানিয়েছে। এখন আরও অনেক ব্যাংক এ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দেয় কোন ব্যাংক এবং কিভাবে?
এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক এ ধরনের প্রকল্প চালু করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক অন্যতম। তারা ৯ থেকে ১৪ শতাংশ সুদে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিচ্ছে। ঋণ দিচ্ছে আড়াই থেকে ৩ লাখ। ঋণের মেয়াদ ১ থেকে ৩ বছর। ঋণ বিতরণের শর্ত ও অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রায় সব ব্যাংকের একই ধরনের।
আবেদনকারীর অনুপস্থিতিতে তার আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠজনের ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। আর্থিকভাবে কোনো সচ্ছল ব্যক্তিকে ঋণের গ্যারান্টর হতে হবে। ভিসার সত্যতা যাচাই নিশ্চিত হলে ব্যবস্থাপকের কাছে ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীকে সদ্য তোলা ৩ কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে হবে। ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে ও তার সমুদয় আয় বা রেমিটেন্স সম্পূর্ণ উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে। বিমান এজেন্সি কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখ প্রত্যয়নপত্র বা বিমানের ইলেকট্রনিক টিকিট জমা দিতে হবে। দিতে হবে ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।
সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৩
তারা প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘প্রবাসী কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প’। ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা। পরিশোধের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ বছর। তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ দুই বছর ২৪ কিস্তি বা তিন বছর বা ৩৬ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রতি মাসে একটি করে কিস্তি দিতে হবে। ঋণের সুদের হার সরল সুদে ১২ শতাংশ। অর্থাৎ ঋণের সুদের ওপর কোনো সুদ আরোপ করা হবে না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মতো করেই ঋণের আবেদন করতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংক লোন
তাদের প্রকল্পের নাম ‘প্রবাসী ঋণ প্রকল্প’। ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা। ১৫ থেকে ১৮ মাসিক কিস্তিতে অর্থাৎ সোয়া বছর থেকে দেড় বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার ৯ শতাংশ।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক
তারা প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘এনআরবি মাইগ্রেশন লোন’। সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ টাকা। সুদের হার ১৪ শতাংশ। ১২, ২৪ ও ৩৬ মাসিক কিস্তিতে অর্থাৎ এক, দুই ও তিন বছরে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গ্রেস পিরিয়ড ৩ মাস। বিদেশ যাওয়ার ৩ মাস পর থেকে ঋণের মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। তারা ১৮-৫৫ বছর বয়সীদের এ ঋণ দেবে।
পূবালী ব্যাংক লোন
তারা প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘নন রেসিডেন্ট ক্রেডিট স্কিম’। ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর অর্থাৎ ২৪ মাস। মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে হবে। ২ মাস গ্রেস পিরিয়ড। সুদের হার ১৩ শতাংশ। অন্য কোনো খরচ নেই, দ্রুত সময়ে ঋণ দেয়া হয়। এজন্য নিয়মকানুনসহ ব্যক্তিগত গ্যারান্টি এবং ঋণ গ্রহীতা, গ্যারান্টর ও ব্যাংকের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিনামা করতে হবে। তবে কোনো জামানতের দরকার নেই।
যে সকল ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকঃ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে। ভিসা থাকলে ঋণ দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণের পরিমাণ ১ থেকে ২ লাখ টাকা। ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর। গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ।
অগ্রণী ব্যাংক লোন
১৮ থেকে ৪৫ বৎসরের বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক বিদেশ যাওয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংক থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ থকে ১৮ মাসের কিস্তিতে ঋণ সহয়তা নিতে পারবেন। তাছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো দেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অগ্রণী ব্যাংক মাত্র ৯ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে। সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার এ ঋণ ৬০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক
বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ১৮ থেকে ৪৫ বৎসরের বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেক তিন বৎসর মেয়াদের কিস্তিতে সর্বোচ্চ ২.৫ লাখ টাকা ঋণ সহয়তা নিতে পারবেন।
কর্মসংস্থান ব্যাংক
বৈধভাবে বিদেশে চাকুরীর জন্য গমনেচ্ছুকদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে কর্মসংস্থান ব্যাংক। ঋণ পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সরাসরি নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ব্র্যাকসহ সরকারি-বেসরকারি আরও অনেক ব্যাংক এবং সংস্থা এখন বিদেশে যাওয়ার জন্য স্বল্পসুদে ঋণ দিচ্ছে।
অভিবাসী ঋণ লাভের যোগত্যসমুহ
আবেদনকারী ব্যক্তিযার মাধ্যমে ভিসা পেয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য ভিসার ২টি ফটোকপি ও ফোন নাম্বার জমা দিবে। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে ভিসাটি যাচাই করে ফোন অথবা মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। ঋণ গ্রহনকারীর অনুপস্থিতিতে আপনজনকে ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিতে হবে। জামিনদারকে অবশ্যই স্বচ্ছল হতে হবে। ভিসা যাচাই শেষ হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে হবে।
অভিবাসী ঋণের জন্য যেভাবে আবেদন করতে হবে
ভিসা পাওয়ার পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। অভিবাসন ব্যয়ের বিবরনী, আবেদনকারীর (৩কপি), জামানতদারদের (২কপি) ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাসহ পৌরসভার/ইউনিয়ন পরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। এছাড়া নন-জিডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সেই ব্যাংকের মাধ্যমের রেমিটেন্স পাঠানো হবে সেই অংগীকারনামও জমা দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হতে অভিবাসী ঋণ উত্তোলনের আবেদন
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেয়ার নিয়ম ২০২৩
১. আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় বা নিয়োগকর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকরির জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।
আবেদনকারীকে নিয়োগকারী/ব্যক্তিগতভাবে সংগৃহীত ভিসার ০২ কপি (ভিসা যাচাইয়ের জন্য) ফটোকপি ও মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে। উক্ত ভিসা ০৩ (তিন) কর্ম দিবসের মধ্যে যাচাই করে আবেদনকারীকে ব্যাংক হতে ফোন/এস.এম.এস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
২. আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার ঘনিষ্ঠজন ব্যাংকের পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
৩. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য জামিনদারের অবশ্যই আর্থিক সচ্ছলতা থাকতে হবে।
৪. ভিসা যাচাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে নিম্নে বর্ণিত কাগজপত্রসহ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে।
ভিসা সঠিক পাওয়ার পরবর্তী করণীয়
১. অভিবাসন ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন ফর্ম পাওয়ার আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালক/ব্যবস্থাপক-এর বরাবর আবেদন করতে হবে।
২. নমুনা অনুযায়ী আবেদন করার পর অভিবাসন ঋণের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
৩. আবেদনকারীর সদ্য তোলা ০৩ (তিন) কপি সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
৪. আবেদনকারীর জামিনদারদের প্রত্যেকের সদ্য তোলা ০২ কপি করে সত্যায়িত ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা সংবলিত পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
৫. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
৬. অভিবাসী কর্তৃক আয়কৃত সমুদয় রেমিটেন্স উক্ত সঞ্চয়ী হিসাবের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করতে হবে।
৭. অভিবাসন ঋণ গ্রহণকালে কর্মীকে বীমা সুবিধা নিতে হবে।
৮. জামিনদারদের যে কোন এক জনের ব্যাংক একাউন্টের চেক এর ০৩টি পাতা (চেক MICR হতে হবে ) প্রদান করতে হবে।
৯. আবেদনকারীকে দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত ভিসা ও লেবার কন্ট্রাক্ট (যেখানে প্রাপ্ত বেতন ভাতাদির উল্লেখ আছে) এর ফটোকপি (০২ কপি) এবং স্থানীয় ভাষায় অনুবাদকৃত ভিসার ফটোকপি (প্রয়োজন সাপেক্ষে) এবং ভিসার যথার্থতা বিষয়ে বিএমইটি/বোয়েসেলের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
১০. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর সত্যায়িত ফটোকপি (যদি থাকে) প্রদান করতে হবে।
১১. শারীরিক যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রদান করতে হবে ।
১২. অভিবাসন ব্যয়ের বিবরণী সাদা কাগজে লিখিত দিতে হবে।
১৩. আবেদনকারীর বিদেশের কর্মস্থলের ঠিকানা, টেলিফোন নং/ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি (যদি সম্ভব হয়) জমা দিতে হবে। BMET কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের উভয় পিঠের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
১৪. কর্ম অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিতে হবে।
১৫. যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশে যাবেন অথবা বিমান টিকেট ক্রয় করবেন, সে এজেন্সী কর্তৃক সম্ভাব্য যাত্রার তারিখসহ প্রত্যয়ন।
১৬. বিমান টিকেটের ফটোকপি। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৭. ঋণ ফেরত প্রদানের হলফনামা।
অভিবাসন ঋণ পরিশোধের চার্জ ও নিয়মাবলীঃ
১. অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র শতকরা ০৯ টাকা।
২. পরিশোধের দিন হতে সর্বোচ্চ ০২(দুই) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা হয়।
৩. দেশ ভেদে প্রাপ্ত ভিসার মেয়াদ অনুযায়ী ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ০২ বছর (২২ টি মাসিক কিস্তিতে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে)। যেমনঃ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরিশাস, ব্রুনাই, কাতার, ইতালি, ইউরোপ ইত্যাদি।
৪. সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে ১০ কিস্তিতে ০১ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এর কাজ কি?
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে বর্তমান সময়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৭,০০০ বিদেশগামী কর্মীদের অভিবাসী ঋণ প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত ০৩ দিনে অভিবাসন ঋণ মঞ্জুর করে থাকে। এছাড়াও বিদেশ ফেরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মীকে পুনর্বাসন ঋণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে সহায়তা করছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়?
আপনি যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে আপনি কোন রকমের জামানত ছাড়াই দুই বছর মেয়াদে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। বিদেশে গিয়ে তারপর সেখানে কাজ করে আপনি এই ঋণের টাকা পরিশোধ করে দিতে পারবেন এতে কোন সমস্যা নেই।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার আত্মীয়–স্বজন ঋণ চালাতে পারবে এরকম একজন সক্ষম ব্যক্তি থাকতে হবে। জামিনদার ব্যক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা অবশ্যই থাকা লাগবে, আর তা না হলে হবে না। যে ব্যক্তি লোনের জন্য আবেদন করবে তার ভিসা যাচাই করার জন্য দুই কপি ছবি এবং ফোন নাম্বার ব্যাংকে জমা দিতে হবে। আর তাহলে তিন কার্যদিবসের দিনের মধ্যে ব্যাংক আপনাকে এই বিষয়টি কনফার্ম করে দেবে যে তারা আপনাকে লোন দিবে কি দিবে না।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে মূলত বিভিন্ন রকমের প্রকারের লোণ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। যেমন – অভিবাসন ঋণ কিংবা মাইগ্রেশন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ, বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ, বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ। এই সমস্ত স্কিমের আওতায় কোন ধরনের জামানত ছাড়াই একজন মানুষ যদি প্রবাসে যেতে চান তবে দুই বছর মেয়াদে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ খুব সহজে নিতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তবে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে লোন নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা সুদ দিতে হবে তাদেরকে সুদের হার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অভিবাসন ঋণের সুদের উপরে ৯% (সরল সুদ) নিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের প্রকারভেদ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অধীনে যে সমস্ত লোন সেবা গুলো রয়েছে সেগুলো আপনি খুব সহজে উপভোগ করতে পারবেন, আর প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন এর যে সকল প্রকারভেদ গুলো রয়েছে সেগুলোর নিচে আলোচনা করা হলো। মূলত এই সমস্ত নামের অধীনে ব্যাংক থেকে লোন দেওয়া হয়ে থাকে।
অভিবাসী ঋণ প্রদান।
পুনর্বাসন ঋণ।
বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ।
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ।
আপনাদের সঙ্গে উপরে যে চারটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হলো এই সমস্ত প্রকল্প অনুযায়ী আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে যেকোন গ্রাহক এই লোন সেবা গুলো উপভোগ করতে পারবে খুব সহজে। তাহলে চলুন এই চারটি প্রকল্পের ভিতর থেকে আপনি যদি কোন লোন নিতে চান, তাহলে কি শর্তগুলো পূরণ করতে হবে এবং লোন নেওয়ার নেম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
অভিবাসী ঋণ প্রদান ২০২৩
আপনারা যদি অভিবাসী ঋণ সুবিধা নেওয়ার জন্য আগ্রহি হয়ে থাকেন কিংবা এই ঋণ সুবিধা উপভোগ করতে চান, তবে আপনাকে যে সমস্ত শর্ত মানতে হবে এবং অন্যান্য যে সমস্ত বিষয়গুলো প্রয়োজন হবে সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো দেখে নিন।
লোন নেওয়ার জন্য যে সমস্ত যোগ্যতা লাগবে –
আপনার ঘনিষ্ঠ আত্বীয় কিংবা নিয়োগ কর্তার মাধ্যমে যদি আপনি বিদেশে চাকুরীর জন্য ভিসা লাভ করে থাকেন।
আপনি যখন দেশে থাকবে না তখন আপনার অনুপস্থিত দিতে আপনার ঋণ চালানোর মতো একজন সক্ষম ব্যক্তি থাকতে হবে।
জামিনদার যে ব্যক্তি হবেন তার আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা লাগবে।
আবেদনকারী ব্যক্তির ভিসা যাচাই করার জন্য ২ কপি ছবি এবং মোবাইল ফোন নাম্বার দিতে হবে। আর তাহলে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে আপনার লোন নেওয়ার বিষয়টি ব্যাংক থেকে কনফার্ম করে দেওয়া হবে।
ঋণ গ্রহণের যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো লাগবে সেগুলো নিচে দেওয়া হল –
যে ব্যক্তি আবেদন করবে লোনের জন্য তার সদ্যতোলা ৩ কপি ছবি এবং তার সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা শনাক্তকরণের জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্টস গুলো দরকার হয় সেগুলো জমা দিতে হবে।
প্রকল্পের স্থান হিসাবে যে জায়গাটি নিয়ে নির্বাচন করা হবে সেই জায়গাটা যদি নিজের হয়ে থাকে তবে সেই জায়গার কাগজপত্র ব্যাংকে দেখাতে হবে আর যদি ভাড়া নিয়ে থাকেন তাহলে ভাড়ার চুক্তি পত্রের ফটোকপি দেখাতে হবে।
বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন এর প্রয়োজনীয় যে সমস্ত কাগজপত্র গুলো রয়েছে সেগুলো দেখাতে হবে।
যারা এই প্রকল্পের জন্য জামিনদার হবেন তাদের সঠিক ডকুমেন্ট ব্যাংকে প্রদান করতে হবে।
আর তাছাড়া আপনাকে আরো অন্যান্য কন্টাক্ট ডিটেইলস প্রোভাইড করা লাগতে পারে, আপনার কাছে যদি আরো কিছু তথ্য ব্যাংক থেকে চায় তবে সেগুলো ব্যাংকে প্রদান করে দিবেন তাহলেই হবে।
إرسال تعليق